অনলাইন ডেস্ক :
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের কাছে পদ্মায় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার হয়েছে। ডুবে যাওয়ার আট দিন পর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ফেরিটিকে পানির উপরিভাগ থেকে সোজা করে টেনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নদীর তীরে নিয়ে আসে।
বুধবার উদ্ধারকারী প্রত্যয়ের সঙ্গে হামজা এবং রুস্তমও কাজে অংশ নেয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ফেরিটিকে পাটুরিয়ার ৫নং ঘাটের প্রায় ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে তীরে রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক শাহ জাহান বলেন, উদ্ধার কাজের অষ্টম দিনে বুধবার বিকেলে ডুবন্ত ফেরিটিকে উল্টিয়ে সোজা করা হয়। সন্ধ্যার দিকে দুইটি তারের মাধ্যমে প্রত্যয়ের হুকের সাথে ফেরিটিকে আটকিয়ে এবং নিচের অংশে এয়ার লিফটিং ব্যাগের সাহায্যে উপরের দিকে ভাসিয়ে রাখা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রত্যয়ের ক্রেনের মাধ্যমে ফেরিটিকে টেনে তীরের দিকে নেয়া হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে রজনীগন্ধা ফেরিটিকে পাটুরিয়ার ৫নং ঘাটের প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে তীরের কাছে নোঙর করা হয়।
এদিকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকা নৌবাহিনীর ল্যাফটেনেন্ট শাহ পরান জানান, ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের সবগুলো ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরও নদীতে উদ্ধারকারী জাহাজ ঝিনাই দিয়ে অনুসন্ধান করানো হচ্ছে অন্য কোন যানবাহন আছে কি-না।
এদিকে, ফেরি দুর্ঘটনা তদন্তে পৃথক দুটি কমিটির তদন্ত কাজ চলমান আছে।
জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন জানান, ফেরি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। পাঁচ কর্মদিবস শেষ, দুইদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা। ফেরিতে ৯টি মালবাহী যানবাহন ছিলো। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন সকাল আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা তখন ২০ জনকে উদ্ধার করেন।