শামীম রেজা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
সদর উপজেলার পিয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে একজন সহকারী শিক্ষক দশম শ্রেণির ক্লাশ সম্পর্কে প্রশংসা করায় অপমানবোধ করে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে কারিগরি শাখার সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলাম ও আব্দুল হাই প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মন্ডলের উপস্থিততে বিদ্যালয়ের স্টাফ রুমে সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) রাজীব সুলতানকে বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।
এক পর্যায়ে রাজীব সুলতান অসুস্থ্য হলে অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিদ্যালয়ে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হলে কৌশলে সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই পালিয়ে যান এবং সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলামকে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে একাডেমিক সুপার ভাইজার গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে অবগত করলে কর্তব্যরত পুলিশ অবরুদ্ধ সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া ফিহা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে যদি শিক্ষকরাই মারপিট করেন, তাহলে আমরা এখানে কি শিক্ষা গ্রহণ করব। আসলে আমাদের এখানে শিক্ষা তো হয় না, বরং শিক্ষকদের অপ্রীতিকর ঘটনা এখানে অহরহ হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মন্ডল জানান, মারধরের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত, এব্যাপারে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করছি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর তালুকদার বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।