অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
মো. ফারুক জানান, আজ শনিবার সকালে নুরের মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। এরপর তাঁকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নুরের চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ড আজ আলোচনায় বসবে।
নুরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নুরের জ্ঞান ফিরেছে। মাথায় ও নাকে আঘাত আছে। তবে ৪৮ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে নুরের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নুরের কিছুটা হুঁশ ফিরেছে, সকলে তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’
শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, মাথায় আঘাত লাগায় নুরুল হক নুরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তিনি।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর রমনার বিজয়নগর এলাকায় গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা‑কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদসহ চার নেতা–কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠনের তরফ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
নুরকে দেখতে রাতে হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরে গণআধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন।
পরে অবশ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো বিবৃতিতে শুক্রবার রাতে ঘটা সংঘর্ষ ও সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করা হয়। এতে জানানো হয়, জননিরাপত্তা রক্ষার্থেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যও আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।