অনলাইন ডেস্ক :
নারী নির্যাতন মামলার এক আসামির সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে ফেনী পরশুরাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেনে এসআই আবু ছৈয়দ।
বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার (৫৫) নামের এক মামলার আসামি তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু ছৈয়দকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভিডিওটি নজরে আসলে তাৎক্ষণিক সেই এসআইকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম।
জানা গেছে, গত ২২ জুন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পান্না আক্তারকে পিটিয়ে জখম করেন একই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৫৫)। এ ঘটনায় ওইদিন ছাত্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় এসআই আবু ছৈয়দ। ঘটনার দিন পরশুরাম বাজারের হাসপাতাল রোডের আব্দুস সাত্তারের বাসায় যান তদন্ত কর্মকর্তা। বাসার সিঁড়ির নিচে একান্তভাবে কথপোকথনের একপর্যায়ে টাকা লেনদেন করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে সিসিটিভিতে তা রেকর্ড হয়। ঘটনার ১০ দিন পর গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আসামি আব্দুস সাত্তার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য। এসময় অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে পকেট থেকে টাকা বের করেছিলাম। তবে পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আবু ছৈয়দ গণমাধ্যমকে বলেন, ভাইরাল হওয়ার ভিডিওটি গত ২২ জুনের। আসামি সাত্তার আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজের পকেটে থাকা টাকা বের করে সাত্তারকে দেখিয়ে বলেছি ‘টাকা আমার কাছে আছে, টাকা লাগবে না।’ তিনি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেছেন।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. নুরুল হাকিম বলেন, অভিযুক্ত এসআই আবু ছৈয়দকে তাৎক্ষণিকভাবে পরশুরাম থানা থেকে প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।