নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে গত ১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে দুদক গত ২৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি পাঠায় তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এর প্রেক্ষিতে ২৫ জুলাই মন্ত্রণালয় মাউশিকে নির্দেশ দিলে ৩১ জুলাই বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শওকত আলম মীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও এখনও তা জমা হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষা জীবনে দুর্বল ফলাফল সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাবে বিধিবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান মইনুল ইসলাম। পরে কলেজ সরকারিকরণের সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় এবং অনুদান ও অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এছাড়া সরকারি বেতন কাঠামো ভেঙে তিনি চতুর্থ গ্রেডের বেতন গ্রহণ করে প্রতিমাসে অতিরিক্ত প্রায় ১২ হাজার টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, প্রশংসাপত্র ফি, আইসিটি সার্ভিস, আসবাবপত্র ও ক্রীড়াসামগ্রী কেনাকাটার নামে ভুয়া ভাউচার ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ নিলেও কলেজ সরকারিকরণের পরও তিনি এ পদ ছাড়েননি। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কলেজকেও দলীয় কার্যালয়ের মতো ব্যবহার করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক শওকত আলম মীর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। প্রতিবেদন এখনও তৈরি হয়নি, তবে দ্রুতই মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং খুদে বার্তারও জবাব দেননি।