মোঃ মাহাবুল ইসলাম মুন্না রাজশাহী :
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে ফয়সাল আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠেছেন গোদাগাড়ীর মানুষের প্রিয় ব্যক্তি।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলছে—“এতদিনে আমরা একজন যোগ্য অভিভাবক পেয়েছি।”
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ও অন্যান্য অফিসে কাজের গতি ফিরিয়ে এনেছেন। পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। যুব সমাজকে খেলাধুলায় ফিরিয়ে আনতে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফুটবল হাতে মাঠে গিয়েছেন, আবার অফিসে ডেকে ক্লাবগুলোর হাতে খেলাধুলার সামগ্রীও তুলে দিয়েছেন। ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার আয়োজন করে শত শত মানুষকে আনন্দ দিয়েছেন।
শিশুদের জন্যও রয়েছে তার বিশেষ উদ্যোগ। উপজেলা ক্যাম্পাসে তিনি তৈরি করেছেন একটি শিশু পার্ক, যেখানে আশপাশের শিশুরা বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে। জানা গেছে, ধাপে ধাপে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নেই শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে।
সম্প্রতি তিনি বড় একটি পুকুর খেকো সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ৪৫০টি খাস পুকুরের রিট বাতিল করেন। ফলে সাধারণ মৎস্যজীবী ও চাষিরা উপকৃত হবে এবং সরকারও কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।
এছাড়াও ইউএনও ফয়সাল আহমেদ নিয়মিত ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। বেকারি, হোটেল, পেট্রোল পাম্প ও ফার্মেসি পরিদর্শন করে সতর্কতামূলক অর্থদণ্ডও দিচ্ছেন। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আইনের আওতায় এনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে অবৈধ পুকুর খনন ও বাল্যবিবাহ বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তিনি। প্রতি বুধবার নিয়মিত কার্যালয়ে শুনানি করে সাধারণ মানুষের অভিযোগেরও সমাধান দিচ্ছেন।
গোদাগাড়ীর সচেতন মহল বলছেন—“ইউএনও ফয়সাল আহমেদ একজন রোল মডেল। তার নেতৃত্বে গোদাগাড়ী উপজেলায় পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।”


