মোঃ সৈয়দ মিয়া ( প্রতিনিধি চট্টগ্রাম) :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, জুলাই সনদের আলোকে নির্বাচন হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। এতে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। আগের পদ্ধতির নির্বাচন মানে ১৫৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া। সেই নির্বাচন আগের রাতেই হয়ে যায়। হোন্ডা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা এই পদ্ধতিতেই আগে নির্বাচন হত। নির্বাচনে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি জরুরি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আমির ওসমান গনির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর ভারপ্রাপ্ত আমির ,পরিবেশ বিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. শফিউল আলম, ইপিজেড থানা জামায়াতের আমির আবুল মোকাররম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছে না তারা জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করছে না। এটি আবু সাঈদ, মুগ্ধদের বাংলাদেশ। দেশের মানুষ আগামীদিনে ফ্যাসিবাদী সকল দরজা বন্ধ করে দিয়ে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। নতুন সংসদে ছোট বড় সকল দলের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা গণমানুষের মনের আকাঙ্খা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ক্ষমতার পালা বদল হলে হবে না। সৎ যোগ্য লোকের হাতে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটি দলের পক্ষে যা ইচ্ছে তা করা বন্ধ হয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটাধিকার মূল্যায়ন হবে। যে দলে যে লোকগুলো যোগ্য তারা সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে। একজন রিকশাওয়ালা পিআর পদ্ধতি বুঝেন, আর যারা রাজনীতি করতে করতে চুল পাকিয়ে ফেলেছে তারা নাকি পিআর বুঝেন না। তারা কি মতলবে বুঝেন না তা দেশের মানুষ ভালো করে জানে।
শাহজাহান বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মাটিতে গুলি মারতে মারতে হেলিকপ্টার দিয়েও গুলি চালিয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত কর্মীকে সমাজকর্মী হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন করা সম্ভব। আল্লাহ তায়ালার অসীম সাহায্য করুণা রহমত আমাদের সাথে আছে এবং থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী দল। জামায়াত দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মহতি কাজ সম্পাদনের জন্য একদল আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ওয়ার্ড বিএম সম্পাদক আব্দুর রহিম বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহ আল আরিফ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ শাহেদ আলী, কর্মপরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক, ফখরুল ইসলাম, মামুন খান, মুজিবুর হক বকুল প্রমুখ।


