নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির রেশ ধরে এই লাগাতার কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা এই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন দ্বিতীয় দিনের মতো। এতে ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে চেয়ার পেতে বসে আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসন ভবনে বেশিরভাগ দপ্তরে তালা ঝুললেও কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে।
বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে চেয়ার পেতে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের যেটা কমপ্লিট শাটডাউন চলছে, গত ২০ তারিখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অনেককে শারিরীক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তারই প্রতিবাদে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব না। শুধু আমরা না গোটা বাংলাদেশের শিক্ষকেরা আজ স্তম্ভিত। যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সুষ্ঠু বিচার না হবে ততক্ষণে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
এসময় একাডেমিক শাখা উপ-রেজিস্টার আবু মো. তারেক বলেন, আমাদের দাবি সুস্পষ্ট, আমাদের উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হয়েছেন। সেটার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা কোনোভাবেই কাজে ফিরে যাব না।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দেন। গতকাল রাতে আবারও জাতীয়তাবাদী শিক্ষকেরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানান।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেল ৫টায় রাকসু নির্বাচন কমিশনার জরুরি সভা করে নির্বাচনের তারিখ পেছান। আগামী মাসের ১৬ অক্টোবর ভোট ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।