অনলাইন ডেস্ক :
এবার ঘরে বসেই অনলাইন সিস্টেমে বন্দীর কাছে পৌঁছে যাবে স্বজনের পাঠানো কারাবন্দির খরচের টাকা। ই- কোম্পানির সহায়তায় এ পদ্ধতি দ্রুত কার্যকর হওয়ার কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে.সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। এর মাধ্যমে কারাঅভ্যন্তরে অবৈধ লেনদেনের পথ বন্ধ হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, দেশে মোট ৬৮টি কারাগারে বন্দী রয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার। এদের কেউ অপরাধ করে আবার কেউবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আটক রয়েছেন। চার দেওয়ালের ভেতরে বন্দীকালীন পিসিকার্ডের মাধ্যমে হাত খরচে টাকা পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। যেখানে বন্দীদের স্বজনরা কারাগারে স্বশরীরে এসে টাকা পাঠান বন্দীদের। এতে অনেক ক্ষেত্রে টাকা না পাওয়া ও টাকার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পরে।
এবার সেই অনিয়মের জায়গায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এখন থেকে কারাকর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অনলাইনেই বন্দীর কাছে পৌছে যাবে স্বজনদের টাকা। ই-মানি কোম্পানির সহায়তায় এটি দ্রুত কার্যকর হওয়ার কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে. সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। এর মাধ্যমে স্বজনরা ভোগান্তি ছাড়া ঘরে বসেই বিকাশ,নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন বন্দীদের।
শুধু তাই নয়, এখন থেকে অনলাইনেই হবে কারাভ্যন্তরে অর্থ খরচের মনিটরিং। ফলে অবৈধ লেনদেনের পথ বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা বাড়বে বলে আশা কারা কর্তৃপক্ষের।