চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: নাদিম হোসেন
বিচার, মৌলিক সংস্কার ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছেছে। পাশের জেলা নওগাঁ থেকে রওনা দিয়ে শনিবার বেলা ২টার দিকে এনসিপি নেতারা শহরের শান্তিমোড়ে এসে উপস্থিত হন। পরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এক পথসভায় মিলিত হন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
পথসভায় বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন,
আমরা এসেছি ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর বার্তা নিয়ে—এটি একটি ইনসাফভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখায়। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে থাকবে না অবিচার, বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদ। চাই জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে চরম বৈষম্যের শিকার। শুধু এই জেলা নয়, দেশের প্রতিটি জেলা থেকে বৈষম্য দূর করার স্বপ্নই এনসিপির আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাহিদ ইসলাম বলেন,
“বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বারবার আমাদের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে—গ্রেনেড হামলা ও বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। আর এদেশের সরকার নীরব দর্শক। এবার আর তা মেনে নেওয়া হবে না। আবারও সীমান্তে হামলা হলে আমরা লংমার্চের ডাক দেব। নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা জনগণকেই প্রস্তুত করছি।
পথসভা সঞ্চালনা করেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বক্তব্য দেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।
আখতার হোসেন বলেন,
বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শিকার। সেই নির্যাতনের সহযোগী হয়ে উঠেছে দিল্লির সরকার। সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ তারই প্রমাণ।
পথসভা শেষে বিকেলে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর নেতারা রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা করেন।