অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বর্তমান সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এছাড়া, গণ আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি পরিপত্র জারি করে দিবস তিনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, দিবস তিনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিপত্রে আরও জানানো হয়, প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনুষ্ঠানিকভাবে দিবস তিনটি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এই কমিটিতে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালিত হবে। ১ জুলাই মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।