ইমন সরকার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আগামী ৫ আগস্ট পালিত হতে যাচ্ছে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’—এক ঐতিহাসিক দিন, যা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করে। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ভালুকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পৌর শাখার উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভালুকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ভালুকা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য আলহাজ্ব হাতেম খান। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহির রায়হান।
প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, আবু তাহের ফকির, শ্রী স্বপন বনিক, সদস্য আমান উল্লাহ তাজুন, আমিনুল ইসলাম পাপ্পু সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভায় আলহাজ্ব হাতেম খান তার দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে বলেন, “ভালুকা পৌর বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না—সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। আমার চেয়ে দল বড়। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুনাম বজায় রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়ায়, তার বিরুদ্ধে পৌর বিএনপি কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরে কিছু ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে এমন অভিযোগ উঠলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ প্রেক্ষিতে আলহাজ্ব হাতেম খান দলের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “বিএনপি একটি আদর্শিক দল। এ দল মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে। এখানে ব্যক্তিস্বার্থে অপব্যবহার বা অপকর্ম বরদাশত করা হবে না।”
তিনি আরও জানান, পৌর বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে ইতোমধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারী ও জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হাতেম খানের বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, “ভালুকা পৌর বিএনপিকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে হলে, দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।”
হাতেম খানের বক্তব্য ইতোমধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর স্পষ্ট ও সাহসী অবস্থান ভালুকা পৌর বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল ও জনগণের আস্থাভাজন দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।
পৌর বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আশাবাদী। তাদের ভাষায়— “এই বার্তাগুলো শুধু বক্তব্য নয়, এটা একটি বারুদভরা সংকেত—দলের ভেতরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিএনপি আবারও জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে।”