মোঃ মাহাবুল ইসলাম মুন্না রাজশাহী :
রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোল্লাপাড়ায় বসবাসরত পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের ২০টি পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকার পাহাড়িয়াপল্লীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আদিবাসী অধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের এসব পরিবার বংশপরম্পরায় ওই এলাকায় বসবাস করছে। অথচ একটি ভূমিদস্যু চক্র হঠাৎ জমির মালিকানা দাবি করে তাদের উচ্ছেদের পাঁয়তারা শুরু করেছে। বক্তাদের ভাষ্যে— “এটি কেবল জমি দখলের চেষ্টা নয়, বরং পাহাড়িয়া জনগোষ্ঠীকে উৎখাত করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, যে দলিল দেখিয়ে উচ্ছেদের দাবি তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ জাল। প্রকৃত দলিলপত্রে প্রমাণ রয়েছে, এ জমির প্রকৃত মালিক পাহাড়িয়া পরিবারগুলোই। তাই আইনি কৌশল ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এ সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করার যে অপচেষ্টা চলছে, তা কখনো সফল হবে না।
মানববন্ধনে বক্তারা পাহাড়িয়াদের বসতভিটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা বলেন, “রাষ্ট্র যদি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধ না হয়, তবে দুর্বল সম্প্রদায়গুলো ক্রমাগতভাবে বিলুপ্তির মুখে পড়বে।”
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। স্থানীয়দের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— কাউকেই জোরপূর্বক উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না।”