আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে ব্যতিক্রমী কৌশলে ভোট চেয়ে আলোচনায় এসেছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের জাকের পার্টির এমপি পদপ্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হাই মাস্টার। এক হাতে হ্যান্ডমাইক, অন্য হাতে পোস্টার নিয়ে অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। কোথাও দাঁড়িয়ে আবার কোথাও হাঁটতে হাঁটতে বাজাচ্ছেন রেকর্ডকৃত প্রচারণা বার্তা। যা এরইমধ্যে নজর কেড়েছে এলাকার সাধারণ ভোটারদের।
গত নির্বাচনে সাইকেল চালিয়ে ভোট চাইলেও এবার হেঁটে হেঁটে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন এই প্রার্থী। ব্যতিক্রমী প্রচারণার পাশাপাশি ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
স্থানীয়রা জানান, হাই মাস্টার খুবই সাদাসিধে। কেউ ডাকলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান। স্থানীয় বাহার আলী, কুদ্দুস মিয়া, আলেপ উদ্দিন জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও তার জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে গিয়ে একে একে জমিজমা বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। এবার এমপি নির্বাচনে অংশ নিতে বসতভিটাও ভাইপোদের কাছে বন্দক রেখেছেন। পরিবারও তার এ সিদ্ধান্তে সহযোগিতা করছে।
ভোটারদের অনেকে মনে করেন, প্রতি নির্বাচনে প্রচুর ভোট পেলেও কারচুপির অভিযোগে হেরে যান আব্দুল হাই মাস্টার। তাই এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
প্রচারণার বিষয়ে আব্দুল হাই মাস্টার বলেন, ‘গত এক বছর ধরে মাঠে আছি। ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে আমার কাছে সমস্যা নিয়ে আসতো। এবারও সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য ভোট চাই। প্রচারণায় গিয়ে যেখানে রাত হয়, সেখানেই কারও বাড়িতে খাবার খেয়ে রাত কাটাই।’
নির্বাচিত হলে নারীর উন্নয়ন, গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ, কলকারখানা স্থাপন, কচাকাটা থানাকে উপজেলা করা, চরাঞ্চলে চাইনিজ পদ্ধতিতে নদী শাসন, দুধ-মাংস রপ্তানিমুখী পশুপালন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং অসহায় মানুষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেন এই প্রার্থী।
ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা আব্দুল হাই মাস্টার। তার ছেলে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৯ জন, নারী ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন।


