ইমন সরকার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
প্রশাসনিক দায়িত্ব যেমন কঠিন, তেমনি জনসেবার চ্যালেঞ্জও অনেক। কিন্তু ভালুকা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেই চ্যালেঞ্জকে যেন নিজের দায়িত্বে পরিণত করেছেন। দক্ষ প্রশাসক, মানবিক মানুষ এবং সাহসী নেতৃত্ব—এই তিনটি গুণ একত্রে ধারণ করে তিনি আজ ভালুকাবাসীর প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
সাধারণত একজন ইউএনওর কাজ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু তিনি তার গণ্ডি পেরিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি একাধারে ইউএনও, এসিল্যান্ড, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র এমনকি সংসদ সদস্যের ভূমিকাও দক্ষতার সাথে পালন করে চলেছেন।
জনপ্রতিনিধিরা যেখানে নানান কারণে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধায় ভোগেন, সেখানে ইউএনও’র সাহসিকতা ও সিদ্ধান্ত ক্ষমতার মাধ্যমে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। সরকারি খাসজমি উদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো—সবখানেই তাঁর মানবিক ও কর্তব্যপরায়ণ উপস্থিতি প্রশংসিত হচ্ছে।
ভালুকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই কর্মকর্তার প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার জীবনে এমন ইউএনও দেখিনি—তিনি দিনরাত মানুষের কথা ভাবেন। আমরাও তাঁর পাশে থাকতে চাই।”
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনও মহোদয়কে নিয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “ভালুকা ভাগ্যবান, এমন একজন ইউএনও পেয়েছে।”
এই কর্মকর্তা শুধু দাপ্তরিক কাজেই নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় আছে শৃঙ্খলা, আচরণে আছে সম্মান, কথায় আছে আন্তরিকতা—আর কাজের ভেতরে আছে দৃঢ়তা ও স্বচ্ছতা।
ভালুকার মানুষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, “ইউএনও মহোদয় ভবিষ্যতেও এমন মানবিক এবং সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন এবং ভালুকাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন।”
ইতোমধ্যে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ভালুকায় একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম চলমান। তিনি যেমন জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন, তেমনি দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন।
স্থানীয় এক যুবনেতা বলেন, “তিনি প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হলেও আমরা তাঁকে একজন অভিভাবকের মতো দেখি। তাঁর মতো সৎ ও কর্মঠ ইউএনও আমাদের উপজেলা আগেও পায়নি।”
ভালুকাবাসীর পক্ষ থেকে মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়েছে। একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর এই পথচলা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে দেশের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য।