দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ

Menu
  • সাংবাদিক তালিকা
    • সম্পাদকীয় মন্ডলী
    • বিভাগীয় সম্পাদক
    • ব্যুরো প্রধান
    • সিনিয়র রিপোর্টার
    • স্টাফ রিপোর্টার
    • জেলা প্রতিনিধি
    • উপজেলা প্রতিনিধি
    • বিশেষ প্রতিবেদক
    • ক্রাইম রিপোর্টার
    • অফিস স্টাফ
    • ভিডিও সাংবাদিক
    • ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    • বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি
ভোর ৫:৪৫, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নোটিশ
ই-পেপার
Menu
  • সাংবাদিক তালিকা
    • সম্পাদকীয় মন্ডলী
    • বিভাগীয় সম্পাদক
    • ব্যুরো প্রধান
    • সিনিয়র রিপোর্টার
    • স্টাফ রিপোর্টার
    • জেলা প্রতিনিধি
    • উপজেলা প্রতিনিধি
    • বিশেষ প্রতিবেদক
    • ক্রাইম রিপোর্টার
    • অফিস স্টাফ
    • ভিডিও সাংবাদিক
    • ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    • বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি
  • প্রচ্ছদ
  • বিশেষ সংবাদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব সংবাদ
  • খেলা
  • বিনোদন
  • বাণিজ্য
  • লাইফস্টাইল
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • রাজধানী
  • প্রবাস
  • আইন-আদালত
Menu
  • প্রচ্ছদ
  • বিশেষ সংবাদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব সংবাদ
  • খেলা
  • বিনোদন
  • বাণিজ্য
  • লাইফস্টাইল
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • রাজধানী
  • প্রবাস
  • আইন-আদালত
হোম সারাদেশ

প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরে পদার্পণ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
in সারাদেশ
A A
0
প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরে পদার্পণ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
Share on FacebookShare on Twitter

আবির হোসেন, ইবি :

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ (ইবি)। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার সীমানা ঘেঁষে মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গার দুলালপুর নামক স্থানে যাত্রা শুরু করে অনন্য এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ, ইসলামী চিন্তাধারার ভিত্তিতে আধুনিক শিক্ষার বিস্তার এবং গবেষণার প্রতি অঙ্গীকার এই তিনের এক অপূর্ব সমন্বয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের উচ্চশিক্ষা মানচিত্রে দিয়েছে একটি স্বতন্ত্র মর্যাদা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাটি হাটি পা পা করে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪৭ বছরে পদার্পণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: ১৯৭৭ সালে মক্কায় এক সম্মেলনে সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে তৎকালীন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নানা চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে জনগণের দাবি ও শতাধিক বছরের আন্দোলনের পরিপ্রক্ষিতে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারিভাবে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। আইন পাস হয় ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি এ.এন.এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে দু’টি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০ ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করলে শুরু হয় আন্দোলন, গ্রেফতার ও কারাবরণ। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ১৯৮৯ সালের ৩ জানুয়ারি ফের স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো ছাত্রী ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি শুরু হয়। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

বর্তমানে ৯টি অনুষদ, ৩৬টি বিভাগ, ১টি ইনস্টিটিউট, ১টি স্কুল, প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে রয়েছে দুটি প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য তিনটি আবাসিক হল। নির্মানাধীন আরও তিনটি হল। বর্তমানে ১৪তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এখানে রয়েছে ইসলাম শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত বিভাগসমূহ। রয়েছে আইন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীন যুগপোযোগী বিভাগ। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) নামে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। আইসিটি সেল ও উন্নত গবেষণার জন্য রয়েছে সেন্ট্রাল ল্যাব। তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়টি ধারণ করেছে এক আধুনিক রূপ।

১৭৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই ক্যাম্পাস যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব ছায়াঘেরা ঠিকানা। ছায়াবীথি পথ, মুক্তমঞ্চ, মনোমুগ্ধকর লেক, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও শিক্ষাভবনগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্মিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং এটি ইসলামী ভাবনার কেন্দ্রস্থল হিসেবেও বিবেচিত। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পৃথক আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, খেলার মাঠ, এবং চিত্তবিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক ক্লাব ও সংগঠন যা তাদের মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।

স্বতন্ত্র অনুষদ ও বিভাগ: বিশ্ববিদ্যালয়ে দুু’টি স্বত্তন্ত্র অনুষদ দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিক অনুষদ হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে দু’টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক অ্যান্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন অনুষদে বর্তমানে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া মুসলিম ফিলোসোফি, ইসলামিক আকিদা এবং কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন নামে নতুন তিনটি বিভাগ এ অনুষদের অন্তভুক্ত করা হবে। এছাড়া আইন অনুষদভুক্ত ‘আল-ফিকহ্ অ্যান্ড ল’ একটি বিশেষায়িত বিভাগ। প্রচলিত আইন ও শরীয়াহ আইনের সমন্বিত শিক্ষাদান করা হয় এ বিভাগে। যা শিক্ষার্থীরা ইসলামী শরীয়াহ এবং প্রচলিত আইন বিশেষজ্ঞ পন্ডিত তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার: কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম ‘খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’। তৎকালীন সৌদি বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের সহায়তায় নির্মিত হওয়ায় তার নামেই গ্রন্থাগারটির নামকরণ করা হয়। অত্যাধুনিক গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার বই রয়েছে। এছাড়া ৩০ হাজার বইয়ের পাণ্ডুলিপি ও বিভিন্ন ভাষার উপর ১৯ হাজারের অধিক বিদেশি জার্নাল রয়েছে। অনলআইন পাঠের জন্য ৫০ হাজার বই রয়েছে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারেন। এটি ১৯৮৪ সালে স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হলেও ১৯৯৫ সালের ২৫ আগস্ট আলাদা ভবন নির্মাণ করা হয়। সমৃদ্ধ এ লাইব্রেরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭১টি পিএইচডি এবং ৫৪৭টি এমফিল গবেষণাপত্র রয়েছে।

ব্যতীক্রমধর্মী স্থাপত্য, স্মৃতিসৌধ: বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়েকটি স্থাপত্য ও ভাস্কর্য রয়েছে তার মধ্যে শহীদ স্মৃতিসৌধ অন্যতম। ৫২-র ভাষা আন্দোলন ও ৭১-এর গৌরবময় মুক্তিযোদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামের শহীদদের স্মরণে ২০০১ সালে তাৎপর্যপূর্ণ এ শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং প্রখ্যাত স্থাপত্যবিদ রবিউল ইসলামের দেয়া মডেল ও স্থাপত্যকর্মের ভিত্তিতে এটি নির্মিত হয়। দেয়ালচিত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পাগলা কানাই, লালন ফকির, মীর মশাররফ হোসেন এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমরবাণী স্মৃতিসৌধের আত্মিক সৌন্দর্য শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সংগ্রাম স্মরণে ‘মুক্ত বাংলা’: শত্রুর বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’। ভাস্কর্যটি আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আঙ্গিকে ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রশাসন ভবনের পূর্ব পাশে নির্মিত হয়। খ্যাতিমান স্থপতি রশিদ আহমেদের নকশায় অপরূপ সৌন্দর্যে রূপ দেয়া হয়। ‘মুক্তবাংলা’র সাতটি স্তম্ভ সংবলিত গম্বুজের ওপর রয়েছে দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার রাইফেল, যা সাত সদস্যের মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার প্রতীক। সর্বনিম্নে বিস্তৃত সিরামিক বড় ইট লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশক। এছাড়া উপর থেকে চতুর্থ ধাপে লাল রঙের সিরামিক ইট আন্দোলন ও যুদ্ধের প্রতীক, দ্বিতীয় ধাপে কালো রঙের পাথর শোক ও দুঃখের প্রতীক, তৃতীয় ধাপে সাদা রঙের মোজাইক সন্ধি ও যোগাযোগের প্রতীক এবং বেদির মূল মেঝে সবুজ রঙের মোজাইক ও নীল রঙের টাইলস শান্তির প্রতীক নির্দেশক। সম্পূর্ণ অবকাঠামোটি সাতটি আর্চ সংবলিত একটি অর্ধ উদিত (উদীয়মান) সূর্য।

সর্ববৃহৎ স্থাপনা ‘নান্দনিক কেন্দ্রীয় মসজিদ’: বাংলাদেশে স্থাপত্যশৈলীর মধ্যে ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদ অন্যতম। দেশের প্রাতিষ্ঠানিকভিত্তিক মসজিদগুলোর মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে এশিয়া মহাদেশের সৌন্দর্যতম মসজিদগুলোর অন্যতম একটি হবে এটি। মসজিদটি নির্মান সম্পন্ন হলে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে ১৭ হাজার মুসল্লি। দুই দশমিক ২৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে চারতলা বর্গাকৃতির মসজিদটি সিরামিক ও শ্বেতপাথরে নির্মিত। মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরের আয়তন ৫১ হাজার বর্গফুট। অনন্য স্থাপত্যকর্ম মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। দীর্ঘ ৩০ বছরে মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০০৪ সালে ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হলে তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোশারফ হোসাইন শাহজাহান উদ্বোধনের মাধ্যমে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয় মসজিদটি। নির্মাণ কাজ শেষ করতে এখনো ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন।

শহীদ মিনার: বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পর ২০১১ সালে নির্মিত হয় ক্যাম্পাস ভিত্তিক সর্ববৃহৎ শহীদ মিনার। মিনারটির দৈর্ঘ্য মূল বেদি থেকে ১১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫ ফুট। মূল বেদি ৯ ফুট ওপরে। মিনারটির মূল আয়তন ৪০০/২০০ বর্গফুট। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন।

বীরশ্রেষ্ঠ’র নামে মিলনায়তন: ব্যাতিক্রমধর্মী ও আকর্শনীয় স্থাপত্যশৈলীর আরেক স্থাপনা ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন। এটি ঝিনাইদহ জেলার কৃতিসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। মিলনায়তনটি ক্যাম্পাস ভিত্তিক সর্ববৃহৎ যেটি সম্পূর্ণ শিতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। সাংস্কৃতিক এই প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয় ও মন্দির।

উদ্ভাবন ও অর্জন: ইইই বিভাগের এমএসসি শিক্ষার্থী নিয়াজ মুস্তাকিম ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট এবং ভার্সেটাইল হোম সিকিউরিটি সিস্টেম ডিজাইন করেছিলেন। এটি দৈনন্দিন কাজে যেমন দরজা খোলা এবং বন্ধ করা, লাইট সুইচ করা এবং শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ চালু এবং বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, সেইসাথে গ্যাস লিক এবং আগুনের মতো বিপদে সতর্ক করতে পারবে এই যন্ত্র। ইভিনিং প্রিমরোজ (সূর্যমুখীর একটি বিশেষ প্রজাতি, শীতপ্রবণ দেশের একটি ফুল) বাংলাদেশের আবহাওয়ায় জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের গবেষকরা চাষ করেন। ড. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে প্রায় দেড় বছর চেষ্টা করার পর গবেষকরা টিস্যু কালচারের মাধ্যমে দেশের জলবায়ুতে এই ফুল চাষ করতে সক্ষম হন। এছাড়া এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০২১ সালের প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পান।

ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য:
মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বাংলাদেশি দৌড়বিদ। ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে ১০০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করেন প্রায় ১১.১০ সেকেন্ডে। মেহেদি হাসান রয়েল। জাতীয় দলে তার অভিষেক ঘটে ২০২১ সালে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়াড (আক্রমণভাগে) খেলোয়াড়। আইন বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা খাতুন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ম্যাচে মাত্র ১০ ওভারে ৮টি উইকেট নেন, যা শক্তিশালী একটি পারফর্মেন্স হিসেবে দেখা হয়। ইমদাদুল হক মিলন জাতীয় ভলিবল দলের খেলোয়াড় ও কোচ ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ভলিবল প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইসলামের ইতিহাসের তামান্না আক্তার ১০০ মিটার হাডেলসে ৭বার জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। বাংলার মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বাংলাদেশ জাতীয় যুব ফুটবল দল ও জাতীয় ফুটবল দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৪জন ক্রীড়াবিদ খেলাধুলায় সর্বোচ্চ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যাথলেটি্-ংএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাত বার এবং ছাত্রীরা আট বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আশিকুর রহমান খান এবং আলিমুজ্জামান কানন ২০১২ সালে নেপালে এশিয়ান হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ও ২০১৪ সালে চীনে বিশ্ব যুব হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশ নেন। চীনে এশিয়ান হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় সালভি বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশ নেয়। ২০১৮ সালে নেপালে এসএ গেমসে ছয়জন অ্যাথলেট বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস-২০২০’ এ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। ‘বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্প-২০১৯’ এ সর্বমোট ৫৬ পয়েন্ট পেয়ে দলগতভাবে রানার্সআপ হয় বিশ্ববিদ্যালয়। ওই প্রতিযোগিতায় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী আনিকা রহমান তামান্না ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়ে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি দর্শন। যেখানে ইসলামী আদর্শ, আধুনিকতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং গবেষণার এক অপূর্ব সহাবস্থান রয়েছে। ‘শান্তি ডাঙ্গার শান্ত নীড়’ কথাটি কেবল একটি উপমা নয়, বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে যে দর্শন নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়েছিল, তা আজ আরও সুসংহত, আরও সমৃদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠান আগামী দিনে দেশের জ্ঞান-অর্থনীতি, নৈতিকতা ও মানবিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

উপাচাযের্র ভাবনা/অভিব্যক্তি:
লক্ষ্যচ্যুত বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্যে ফিরবে: আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় সাধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হলেও নান কারণে লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে তার প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যে ফেরাতে কাজ করছি। এর আলোকে প্রত্যেক অনুষদে ডিগ্রী প্রদানের পাশাপাশি ইনস্টিটিউশনাল রিচার্স তৈরিতে কাজ চলছে। ইসলামী গবেষণায় ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইসলামিক রিচার্স’ নামে সেন্টার করা হবে। এছাড়া ‘ইসলামিক অ্যান্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন’ অনুষদের অনুমোদন থাকলেও এখনো চালু হয়নি। এই অনুষভুক্ত অর্গানোগ্রামে দুইটি বিভাগের প্রত্যেকটিতে একটি রিসার্চ সেন্টার চালুর চিন্তা রয়েছে। এলক্ষ্যে অনুষদভুক্ত সব বিভাগের কোর্স কারিকুলামে ওই বিষয়ের ইসলামিক বিষয়গুলোকে সমন্বয় করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষতা অর্জনে ইসলামিক ও ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি অর্গানোগ্রামভুক্ত করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি ওআইসি’র প্রতিষ্ঠিত হলেও বিগত সময়ে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কানেকটিভিটি তৈরি হয়নি, সেগুলো চেষ্টা করছি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তার লক্ষ্যের একটি ট্রাকে তুলে দিতে চাই এবং আগামীতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিবে তাদের প্রতি অনুরোধÑ ‘আপনারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নেতৃত্ব দিবেন এবং যোগ্য মানুষ তৈরি করবেন।’ আমি কাউকে অনুসরন না করে নিজের মতো করে চিন্তা করে কাজ করছি। তবে আমার চিন্তার মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সবসময় বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা যেন গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেন করে পৃথীবির যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাস্ট এন্ট্রি নিতে পারে এটিই আমার প্রত্যাশা।

নজরুল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা: প্রস্তাবিত প্রকল্পে নজরুল ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় শিক্ষকদের একটি টিম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। তারা জাতীয় পর্যায়ে ইনস্টিটিউটগুলোতে যেসব বিষয়ে কাজ হচ্ছে, নজরুল নিয়ে গবেষণা, নজরুলের গান, কবিতা ও ছোট গল্প এবং ওয়ার্কশপ প্রোগ্রাম চালু, রিসার্চ প্রোগ্রামের ধরন, নজরুল স্কলারশিপ প্রদানের বিষয়সহ নানা বিষয়ে যাচাইবাছাই করে একটি কাঠামো তৈরি করবে। এর মাধ্যমে নজরুলের সাহিত্যকর্মে উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়বে।

চালু হবে ছাত্র সংসদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসুর) বিধান অন্তর্ভূক্ত করতে ইতোমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ইকসু বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। ইকসু বাস্তবায়ন হলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্ব তৈরি হবে বলে আশা করছি।

নানা সংকট নিরসন: শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটে দু’টি ছাত্র ও ছাত্রী হল এবং একটি ছাত্র হলের বর্ধিত কাজ চলমান। কাজ শেষ হলে সংকট কিছুটা কাটবে, পরিবহন নির্ভার কমবে। নির্মানাধীন একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকবে না। বৈদ্যুতিক সাব স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায় আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও যাকিছু আছে..
স্মৃতির মিনার ‘ডায়না চত্বর’: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই এ ডায়না চত্বর। এ চত্বরের বিশালত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারিসারি সুবিশাল আলবেজিয়াছ গাছ ও গহনার মতো চত্বরটাকে ঘিরে থাকে সোনালু ফুলের গাছ। প্রিন্সেস ডায়না মারা যাওয়ার পর থেকেই চত্বরটির নাম হয় ডায়না চত্বর। এটাই শিক্ষার্থীদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র।

সৌন্দর্যবর্ধক সততা ফোয়ারা: শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের মাঝে অবস্থিত সৌন্দর্যবর্ধক সততা ফোয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর অর্থায়নে নির্মিত এই ফোয়ারায় ঝিকিমিকি লাইট আর ঝিরিঝিরি পানি যেন জায়গাটির সৌন্দর্য কয়েকগুণে বাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের কাছে জায়গাটি হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয়।

স্মৃতি, সৌন্দর্য আর প্রশান্তির জলছবি ‘মীর মুগ্ধ সরোবর’: ক্যাম্পাসের একেবারে পশ্চিমে রয়েছে মনোমুগ্ধকর ‘মফিজ লেক’। বর্তমান নাম ‘মীর মুগ্ধ সরোবর’। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই এই স্থান দিয়ে এই লেক প্রবাহিত হওয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় লেকটির নামকরণ হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেক বা সংক্ষেপে ইবি লেক। কিন্তু এই লেকের নাম পরিবর্তন হয়ে মফিজ লেক হিসাবে জনপ্রিয়তার পিছনে লোকমুখে কিছু কল্পকাহিনী শোনা যায়। মফিজ নামের এক অজ্ঞাত পাগল প্রেমিক তার প্রিয়তমার প্রতি ভালোবাসার প্রমান দিতে অথবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই লেকে আত্নহুতি দিয়েছিলো। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে এই লেকটি মফিজ লেক হিসাবে জনপ্রিয়তা পায়। শীতে অতিথি পাখি সৌন্দর্য বাড়ায় বহুগুণ।

ঝাল চত্বরের প্রশান্তি: ইবির ঝাল চত্বরের কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে কড়া ঝাল দিয়ে মুড়ি মাখানো, গরম গরম সিঙ্গারা, পুরি আর পিয়াজু। মনে পড়ে লাল চায়ের আড্ডায় মেতে থাকা সারাক্ষণ। শিক্ষার্থীদের কাছে ঝাল চত্বর মানসিক প্রশান্তির জায়গা। ঝাল চত্বর ক্যাম্পাসের প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।

প্রেম-বিরহের সাক্ষী ‘প্যারাডাইস রোড’: ক্যাম্পাসের উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তাটি প্রেমিক যুগলদের জন্য নিরব এক বিচরণের জায়গা ‘প্যারাডাইস রোড’। কোলাহলমুক্ত এই সড়কে বিকেল হলেই দেখা মেলে প্রেমিকা যুগলদের। ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বের প্রথমদিনের আলোকচিত্র গ্রহণ বোধহয় এই প্যারাডাইস রোডেই শুরু হয়। আবার ক্যাম্পাস থেকে বিদায়ী শিক্ষার্থীরাও শেষ আলোকচিত্রটা গ্রহণ করে এই রোডেই। এভাবেই অনেক সম্পর্কের শুরু ও শেষ বিদায়ের গল্প বুকে জড়িয়ে কালের সাক্ষী হয় প্যারাডাইস রোড। অর্ধশত বসন্ত পেরিয়ে প্যারাডাইসের দুধারের সুউচ্চ আমলকী গাছগুলো আজ বেশ ক্লান্ত।

পুকুর পাড়ের আড্ডা: শান বাঁধানো ঘাটের বট বৃক্ষের ছায়ায় ক্লান্ত দুপুরে কিংবা শ্রান্ত বিকেলে, ক্লাস বা পরীক্ষার চাপ থেকে মুক্ত হয়ে কিংবা বিকালের অবসরে এই জায়গাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। পুকুর পাড়ের সবুজ ঘাস আর সারিসারি গাছের ছায়া এক স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি করে। এখানে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে গল্প, গিটার বাজিয়ে গান ধরে, আবার কেউবা নীরবে বই পড়ে। হাসির ফোয়ারা আর তারুণ্যের উচ্ছলতায় মুখরিত থাকে পুরো পুকুর পাড়। কত অজানা গল্প, ভবিষ্যৎ স্বপ্নের বুনন আর বন্ধুত্বে ভরা স্মৃতি তৈরি হয় এই পুকুর পাড়ে। যা ক্যাম্পাসের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থেকে যায়। যা বন্ধুত্বের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

ঐতিহাসিক বটতলা: অনুষদ ভবন সংলগ্ন দুইটি বটগাছ, যেখানে শিক্ষার্থীরা তীব্র গরমে দুদন্ড প্রশান্তির আশায় বসেন। জুলাই আন্দোলনে এই বটতলা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। কারণ আন্দোলন শুরুর আগেই সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করতো। এ কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে এটি ঐতিহাসিক বটতলা নামেই খ্যাতি পেয়েছে।

লাল বাসে ডানা মেলে নতুন স্বপ্ন: সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে লাল দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের কাছে আলাদা আবেগের জায়গা। বাসগুলো যখন ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া শুরু হয় তখন ক্যাম্পাস যেন লাল-সবুজে মিশে যায়। ক্যাম্পাসের লাল বাসগুলো দেখে অনেকে হারিয়ে যান স্মৃতির অ্যালবামে। যেখানে তৈরি হয় হাজারো গল্প, হয় বন্ধুত্ব-প্রেম। বন্ধুরা মিলে দলবেঁধে আড্ডা, গলা ছেড়ে গান আর নানান খুনসুটিতে যাতায়াত হয় প্রাণবন্ত। লালবাসের প্রতিটি পদক্ষেপ স্মরণ করিয়ে দেয় পরিশ্রম আর সফলতা-সংগ্রামের গল্পও। যেতে যেতে এই লাল বাসে ডানা মেলে নতুন স্বপ্নরা।

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন সংগঠন: বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, তারুণ্য, কাম ফর রোড চাইল্ড, রোট্যার‌্যাক্ট ক্লাব, কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, ডিবেটিং সোসাইটি, লেখক ফোরাম, ক্যারিয়ার ক্লাব, গ্রীণ ভয়েস, আবৃত্তি আবৃত্তি, ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন, রক্তিমা, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ছায়া জাতিসংঘ, মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষার্থীদের সংগঠক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

আবারও ফুটবে আবেগের কৃষ্ণচূড়া: একসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মানেই ছিল বিশাল মেইন গেটের সামনে রক্ত রঙিন কৃষ্ণচূড়া গাছ। তবে অযত্ন-অবহেলা, ডাল কাটা, বিভিন্ন পোস্টার আর বিলবোর্ডের পেরেকের ভারে মারা যায় প্রধান ফটকের ঐতিহাসিক কৃষ্ণচূড়া গাছটি। প্রকৃতি পালাবদলের সঙ্গে রূপ বদলাত এ গাছ। আষাঢ়ের শেষের এ সময়ে সবুজ পাতায় ভরে ওঠার কথা ছিল গাছটির। আর গ্রীষ্মে গাছটি লাল রঙে রাঙিয়ে দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। এই গাছটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেনি এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া ভার। গাছটি মারা যাওয়ার পর প্রধান ফটকের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আবারও একটি কৃষ্ণচূড়া রোপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদরা আশাবাদী আবারও ফুটবে কৃষ্ণচূড়া।

Recommended

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

5 months আগে
বাংলাদেশ ভ্রমণে পাকিস্তানিদের লাগবে না ‘ভিসা ক্লিয়ারেন্স’

বাংলাদেশ ভ্রমণে পাকিস্তানিদের লাগবে না ‘ভিসা ক্লিয়ারেন্স’

9 months আগে

Popular News

    Connect with us

    ফেসবুক

    টুইটার

    ইউটিউব

    ইন্সটাগ্রাম

    সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ আলী

    সম্পাদকীয় কার্যালয়: গাজী ভবন (৩য় তলা), প্লট : ৩৫, রোড : ২, ব্লক : খ, সেকশন-৬, ঢাকা-১২১৬।

    Email: news.manabikbangladesh@gmail.com

    Website: www.manabikbangladesh.com Phone : +8809638-360743