স্টাফ রিপোর্টার :
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী মঙ্গলবার (১৩ মে) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে আপিলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আবেদন করে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, আগেও এর শুনানি হয়েছে, কিন্তু শেষ হচ্ছে না। জামায়াতের নিবন্ধন না থাকা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
এ সময় আপিলটি কোন সালে করা হয়েছে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। পরে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে জানান, ২০১৩ সালে আপিলটি করা হয়। একপর্যায়ে আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন।
পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। এরপর এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। পরবর্তীতে জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েকদিন বিষয়টির শুনানি হয়।
২০০৯ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন।