ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ৭টি বিভাগে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক শিক্ষক দিয়েই চলছে সকল একাডেমিক কার্যক্রম। এমতবস্থায় দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের সভাপতি এবং অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি।
তিনি বলেন, সামনে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং থাকায় আমরা সবাই মিলে ফ্যাকাল্টির অনুষদভুক্ত বিভাগের একাডেমিক এজেন্ডা, সমস্যা, সংকট এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। এসময় অধিকাংশ শিক্ষকদের বক্তব্যে শিক্ষক সংকটের কারণে বিভাগগুলোর করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে মিটিং করে এবিষয়ে তাকে অবহিত করবো। যাতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তিনি এই সংকট নিরসনে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হচ্ছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াও অনেকাংশে স্বচ্ছ বলা যায়। শুধুমাত্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয় নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ৭ টি বিভাগে তীব্র শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব বিভাগে অল্পসংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক ও অন্য বিভাগ থেকে ধার করা শিক্ষক দিয়ে চলছে সকল একাডেমিক কার্যক্রম। বিভাগ থেকে বারবার চাহিদা দেওয়া হলেও প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাব এবং অব্যবস্থাপনায় নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভাগীয় সভাপতিদের। এ পরিস্থিতিতে কিছু কিছু বিভাগে এক শিক্ষককে একাধিক কোর্সও পড়াতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না বলেও জানান তারা।
মিটিংয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলির সভাপতিত্বে লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্কর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা এবং কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।