শামীম রেজা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের ক্রয়কৃত ফসলি জমিতে দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ করে আসছেন গতকাল ২৩/০৮/২০২৫ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে মকবুল হোসেন ও তার ছেলে মোস্তফা তাদের ক্রয়কৃত জমিতে ধান লাগাতে গেলে চুনিয়াকান্দি গ্রামের আনজু মিয়া, আমজাদ হোসেন, মিনু মিয়া, সবুজ মিয়া, কল্পনা বেগম, শেফালী বেগম, দুদু মিয়া, জাহিদুল, আসাদুল ইসলাম, সন্ত্রাসী কায়দায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের উদ্দেশ্যে
অতর্কিতভাবে হামলা করেন। সে সময় মকবুল হোসেন ও তার ছেলে মোস্তফা জমিতে ধান রোপন করছিলেন। তাদেরকে লাঠি সোটা দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে, ফলে তারা গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। তাদের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী ও তার দুই কন্যা সন্তান এগিয়ে গেলে তার স্ত্রী মাইফুল বেগমের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন, তার বড় মেয়েকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করলে তারাও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন,পরে তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো জ্ঞান ফেরেনি কৃষক মকবুল হোসেনের, ছেলে মোস্তফা মাথায় ৫টি সেলাই ও মেয়ের মাথায় ১৫ টি সেলাই এবং হাতে পাঁচটি সেলাইসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেঁড়া ও জখম নিয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর পাঞ্জা লড়ছেন তারা। এই ঘটনায় গতকাল শনিবার ২৩/০৮/২৫ইং তারিখ সন্ধায় মকবুল হোসেনের স্ত্রী মাইফুল বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।