আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
১ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষা। এ সময়ে ৩ দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলছে কর্মবিরতি। বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা না করে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকায় অনেক এলাকায় পরীক্ষা চালিয়ে নিচ্ছেন অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তা।
১ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় ১২৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৭২৪ জন শিক্ষার্থীর একযোগে শুরু হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষা। তবে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পরীক্ষা কার্যক্রম। কিছু কিছু এলাকায় অভিভাবকরাই পরীক্ষা নিচ্ছেন। আবার কিছু এলাকায় শিক্ষা কর্মকর্তারাই শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসলেও লাইব্রেরিতে অবস্থান করছেন। এমন অবস্থায় রৌমারী উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল করিম প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলন করায় সমালোচনা করেছেন অনেক অভিভাবক।
মোঃ আব্দুল কাদের নামে এক অভিভাবক ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন- ‘ন্যায্য দাবি হোক, যৌক্তিক দাবিই হোক বা অধিকার আদায়ই হোক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন সমর্থনযোগ্য নহে। তাও আবার খোদ শিক্ষকদের।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল করিম বলেন, রৌমারী উপজেলার ১১৫টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে। তবে কোনো বিদ্যালয়েই শিক্ষক পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশ নেয়নি।
কিছু কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পিয়নসহ পরীক্ষা নিচ্ছেন। আবার কিছু কিছু স্কুলে শিক্ষিত অবিভাবকরাই পরীক্ষা নিচ্ছেন। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী মডেল বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী অনেক হওয়ায় এখানে আমি প্রধান শিক্ষকসহ কিছু অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের নৈতিকভাবে এই সময় আন্দোলন করা ঠিক হয়নি। বার্ষিক পরীক্ষাটি একটি সিডিউল পরীক্ষা। ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত এই পরীক্ষা হবে, এরপর বৃত্তি পরীক্ষা আছে। বাচ্চাদের জিম্মি করে এরকম আন্দোলন করা কোনো সচেতন ব্যক্তি এটাকে সমর্থন করবে না।


