আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরিয়ে দিতে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
অভিযুক্ত নেতার নাম মোঃ আরাফাত হোসেন সোহাগ। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রমনা সরকার বাড়ি এলাকার মোঃ সুজা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পরদিন, ১৩ ও ১৫ ডিসেম্বর, মোঃ আরাফাত হোসেন সোহাগ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দুটি মন্তব্য করেন, যা অনেকেই কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক বলে অভিযোগ তুলেছেন। স্ট্যাটাস দুটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ আব্দুর রহমান পারভেজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ্যে মোঃ আরাফাত হোসেন সোহাগকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে জানান, একজন রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হামলার মতো স্পর্শকাতর ঘটনার পর কেউ যদি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে উসকানি দেয়, তা সমাজে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্য তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত হোসেন সোহাগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসটি এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মন্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর কুড়িগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, যেখানে কেউ কঠোর সমালোচনা করছেন, আবার কেউ বলছেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।


