রাঙামাটি প্রতিনিধি:-
কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত এবং অবমুক্ত পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত (তিনমাস) মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা পর থেকে কাপ্তাই হ্রদে আবারও মাছ আহরণ শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ৯৪ দিন পর হ্রদে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন জেলেরা। মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরুর কারণে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। জমে উঠেছে মাছ ধরার প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
দেশের মিঠা পানির মাছের অন্যতম বৃহৎ উৎস এই কাপ্তাই হ্রদ। যেখানে বছরে ৯ মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে আহরণ করা হয় মাছ। আহরিত ছোট মাছের মধ্যে রয়েছে চাপিলা, কাচকি, পাবদা, বাচা, গুলসা আর কার্পজাতীয় রুই কাতল, কালিবাউস আইড়সহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ। এসব মাছ বিএফডিসির বিভিন্ন অবতরণ কেন্দ্র এসে রাজস্ব পরিশোধ শেষে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
বিএফডিসি রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, ৯৪ দিন পর মৎস্য অবতরণ শুরু হয়েছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন এর বিপরীতে আমরা প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ পেয়েছি।
তিনি বলেন,আজকে মাছ যে পরিমাণ পাচ্ছি,আশাবাদী গত বছর যে পরিমাণ মাছ আমরা পেয়েছি, সে পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো। আজ প্রথম দিন হিসেবে ছোট মাছের পরিমাণ একটু বেশি এসেছে। তবে যত সময় গড়াবে কার্প জাতীয় মাছ বা বড় মাছের পরিমাণ বাড়বে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, সময়মতো বৃষ্টি, হ্রদে পর্যাপ্ত পানি, বন্ধকালীন সঠিক মনিটরিং এর ফলে এ সফলতা এসেছে। মাছগুলো বড় হয়েছে। আশা করি গত বছরের তুলনায় এবার বেশি রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি জেলে ও আমরাও লাভবান হবো।’
জেলেরা বলছেন, দীর্ঘ সময় বেকার থাকার পর আবার কাজে ফিরতে পারায় আমরা সবাই খুশি। প্রথম দিনে প্রচুর পরিমাণে মাছ এসেছে। কিন্তু মাছের সাইজ ছোট।
১৯৬২ সালে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় ৭২৫ বর্গ কিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৭ হাজার জেলে।