আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সরকারের ব্যয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা পর্যালোচনার জন্য সব ধরনের অনুদান এবং ঋণ বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভেথের স্বাক্ষরিত এক আদেশে এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
ম্যাথিউ ভেথের জারি করা একটি স্মারকে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে সাময়িকভাবে ‘সব ধরনের ফেডারেল আর্থিক সহায়তার বাধ্যবাধকতা বা বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, এই সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রশাসনকে এজেন্সি প্রোগ্রামগুলো পর্যালোচনা করার এবং প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকার এবং আইন অনুযায়ী ওই তহবিলগুলোর সঠিক ব্যবহার নির্ধারণের জন্য সময় দেবে।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সহায়তা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বরাদ্দও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বা চিকিৎসা সেবার অর্থ, খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো ব্যক্তিগত সহায়তা এই নির্দেশের বাইরে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এই স্থগিতাদেশ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হবে বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কিছু অনুদানের জন্য ওএমবি ছাড় দিতে পারে।
ফেডারেল সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা এ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে ট্রাম্পের প্রথম সপ্তাহে জারি করা নির্বাহী আদেশের ঢেউয়ের ফলে ফেডারেল ঋণ এবং অনুদান প্রোগ্রামগুলো প্রভাবিত হয়েছে কিনা। এই আদেশগুলো সীমান্ত নিরাপত্তা, ফেডারেল কর্মশক্তি, সরকারের ‘অস্ত্রায়ন বন্ধ করা, সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। এই স্মারক নিয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধের সাড়া দেয়নি হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প এবং ওএমবি’র নেতৃত্বে তার মনোনীত ব্যক্তি রাস ভট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা এজেন্সিটির ওপর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।
ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি কংগ্রেস কর্তৃক বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট তহবিল আটকে রাখতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে ইমপাউন্ডমেন্ট কন্ট্রোল অ্যাক্ট-কে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়ে বিবেচনা করছেন।