অনলাইন ডেস্ক :
শুরু হচ্ছে দ্বাদশ সংসদের যাত্রা। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা তিনটায় শুরু হবে অধিবেশন। নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর চলবে ধন্যবাদ প্রস্তাব ও আলোচনা।
এই সংসদে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা কম হলেও থাকছেন ৬২ জন স্বতন্ত্র এমপি। তাই এই সংসদে আগের যে কোন সংসদের তুলনায় বেশী প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক সমালোচনায় সরব হবে বলে মনে করছেন ডেপুটি স্পীকার।
একাদশ সংসদের কার্যদিবস কম হলেও সর্বোচ্চ ২৫টি অধিবেশন বসেছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সংসদে সক্রিয় ছিলো। অবসান হয় সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি। রাজপথে সক্রিয় বিএনপির সংসদ সদস্যরা মেয়াদ পূর্তির এক বছর আগেই ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নতুন সংসদের ২৯৮ সদস্য গত ১০ জানুয়ারি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে দায়িত্ব পালনের শপথ নেন। শপথ নেয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংসদের বৈঠক শুরুর পরই স্পীকার রাষ্ট্রপতিকে ভাষণ দেয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করা হবে। পরে সেই ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল ইসলাম টুকু জানান, শুরুতে স্পিকার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করবেন। এরপর অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে এই সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্য থাকছেন মাত্র ১১ জন। তাই কেমন হবে সংসদের অধিবেশন?
শামসুল ইসলাম টুকু জানান, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরাও এবার সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
একাদশ সংসদের মেয়াদে ৩১ জন এমপির মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ বরেণ্য সংসদ সদস্যরা মৃত্যুবরণ করেন। তাই উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিদায়ী সংসদ রেকর্ড গড়ে।
গত ৭ জানুয়ারির ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।