অনলাইন ডেস্ক :
পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৩৩০ জন নাগরিককে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্কুল থেকে ছয়টি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের ইনানী সৈকতে আনা হয়। এরপর টেকনাফ হ্নীলায় রাখা বাকি বিজিপি সদস্যদের আনা হচ্ছে।
তাদের উখিয়ার ইনানী উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকা দিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর ওই সদস্যদের কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের ঘুমধুমের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছিল। হস্তান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ১২টি বাসে করে তাতের ইনানী উপকূলে নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় নিয়ে আসা আনা হয়।
তাদের নিয়ে যেতে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান করছে। পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলীতে করে করে পৌঁছে দেওয়া হবে মিয়ানমারের ওই জাহাজে। সেখানেই হবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।
বিজিবি মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের কর্মকর্তারা এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
হস্তান্তর প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরা নিয়োজিত আছেন সেখানে।
২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ১২ দিন ধরে কখনো প্রচণ্ড গোলাগুলি, আবার কখনো থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
রাখাইনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি শুরু হলে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তারা এতদিন বিজিবি হেফাজতে ছিলেন।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় বুধবার গোলাগুলির শব্দ কম শোনা গেছে। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আরও তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তবে এগুলো উদ্ধার করা যায়নি।