আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে কমপক্ষে ১৮ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি বাহিনী এবং তেহরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছে।
গত রোববার (৩ জানুয়ারি) সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন এবং আহত হন ৪১ জন।
ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছিল ওয়াশিংটন। এর জবাবে সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কবে থেকে হামলা শুরু করা হবে, তা স্পষ্ট করে না জানালেও একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে হামলা চালানো হবে। বিষয়টি আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হয়েছে। এটি (প্রতিক্রিয়া) আমাদের পছন্দের সময় এবং জায়গায় চলতে থাকবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের সবাইকে এটি জানাতে হবে, আপনি যদি একজন আমেরিকানকেও ক্ষতি করেন তবে আমরা জবাব দেব।’
এএফপি বলছে, উত্তেজনার সাম্প্রতিক বৃদ্ধির পরও ওয়াশিংটন এবং তেহরান উভয়ই সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছে। আর তাই নিজেদের ওপর আরও হামলা এড়াতে পাল্টা হামলা চালানোর সময় তেহরানের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে ইরানের ভূখণ্ডে আঘাত করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন মার্কিন জেনারেল ডগলাস সিমস। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে বিমান হামলা চালানো কঠিন ছিল। গতকাল শুক্রবার পরিস্থিতি বদলে যায়। যেসব লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী তিনি।
এদিকে এ ধরনের হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরাকের সেনাবাহিনী। দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর ফলে বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরাকের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া রসুল।