আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের নির্বাচনের বাকি মাত্র আর একদিন। নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারও শেষ হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। বৃহস্পতিবার ১২ কোটি সাত লাখ ভোটারের দেশটিতে ২৬৬ আসনে ১৬তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ফার্স্ট পোস্ট এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে ২৬৬টি আসনে ৪৪টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৭০টি।
ফাস্ট পোস্টের মতো, নির্বাচনের মূলে মুষ্টিমেয় কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা আগামী বছরের জন্য দেশের গতিপথকে রূপ দেবেন৷
তাদের দাবি, এই নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী পাকিস্তান মুসলিম লীগ দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবেন বিজয় ও দুর্দশার সব কিছুরই বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
শরীফের পুনরুত্থানের বিরোধিতায় দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান জেনারেল আসিম মুনির। তিনি পাকিস্তানের রহস্যময় একজন সেনাপ্রধান, যার প্রভাব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভূ-খণ্ডে ব্যাপক।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাবন্দি থাকা সত্ত্বেও এই নির্বাচনের একজন বড় খেলোয়াড় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩৩ বছরের জেল সাজা পাওয়ার পরেও দেশটির জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা এখনও কমেনি। ইমরান খান ও তার দল পিটিআই এই নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও পাকিস্তান মুসলিম লীগ দল থেকে এবার নির্বাচন লড়বেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। এর আগে শেহবাজ শরিফ তিন বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তার ভাই নওয়াজ শরীফের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য সবচেয়ে কনিষ্ঠ আশাবাদী হলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি থেকে বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি। তিনি নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে এবং দেশের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি।
এতো সব জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনের ওপর কালো ছায়ার হয়ে আছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যাদের হস্তক্ষেপ এই নির্বাচনে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।