বিনোদন ডেস্ক :
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা তিন বছর আগের ‘মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর’ মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একদিন পর জামিন পেলেন তিনি। জামিন পেয়ে নায়িকা বলেন, আপনাদের ভালোবাসায় আজ জামিন নিয়ে বাসায় ফিরছি। আমি একটি মামলা করলাম তার পালটা মামলা করা হয়েছে। তবে আমি ন্যয়বিচার পাব। সত্যের জয় হবে।
আদালতে আদেশের পর খুশিতে কেঁদেছিলেন পরীমনি। এদিকে পরীমনির আইনজীবী জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় গতকাল রোববার পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এদিন পরীমনির আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
একই মামলায় পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের এপ্রিলে পরীমনি ও জুনায়েদের বিরুদ্ধে সিজেএম আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গত বছরের ১৮ এপ্রিল আমলে নেন ঢাকার সিজেএম আদালত।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তার সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি তাকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তার মাথায় ও বুকে লাগে।
এদিকে ২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমনি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। মামলাটিও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।