গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা পার্বতীপুর ইউনিয়নের দেওপুরা মৌজার দাগ নং-৪০০ খতিয়ান নং-১১৫,জেএল নং৭৩ পরিমান-৮৯ শতক,১ টি পুকুর জালিয়াতির মাধ্যমে টেন্ডার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোকশেদুল এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,পুকুরের পাশ্বে ৩৬ টি পরিবার বসবাস করে। মসজিদের সভাপতির নামে প্রায় ২৬ বৎসর মেয়াদে লীজ গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছিল, এই পুকুরের আয় থেকে গ্রামের ইমামের মসজিদের বেতন পরিশোধ করা হতো ও মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং মসজিদ মিলাদ মাহফিলে মাছ ডোনেট করা হতো। এছাড়াও গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ যারা একটি মাছ কেনার সামর্থ রাখে না তারাও এই পুকুর থেকে মাছ খাবার সুযোগ পেতো। এ পুকুরের মাছ ছাড়ার খরচ লীজের খরচ গ্রামবাসীরা বহন করে আসছিল।
কিন্তু গত ৩০শে চৈত্র ১৪২৮ খ্রিঃ তারিখ পুকুরলীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়। বিগত দুই বছর চেক কাটা বন্ধ থাকায় ১৪২৮ থেকে ১৪৩০ পর্যন্ত টেন্ডার ছাড়াই পুকুরটিতে মাছ চাষ করে যাচ্ছি মসজিদ কমিটি। বিগত বছর গুলোতে আব্দুল হামিদ আমাদের সভাপতি থাকায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এটি লীজ নিয়ে আসছিল যার সমুদয় খরচ আমরা গ্রাম বাসীরাই বহন করে আসছিলাম, এছাড়াও পুকুরের মাছ চাষ এর যাবতীয় খরচ গ্রামবাসীরায় সম্মেলিত ভাবে বহন করে এসেছে।কিন্তু আব্দুল হামিদ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তার দহিত্রোদের এই পুকুর দেখা শোনার দায়িত্ব দেন এবং তারপরই মোকশেদুল পুকুরটি ব্যবহারের জন্য গ্রামবাসীর কাছে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় পুকুরটি ব্যবহারের জন্য বিধি নিষেধ আরোপ করেন।
কিন্তু গত ৩০শে চৈত্র ১৪২৮ খ্রিঃ তারিখ পুকুরলীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় (সাবেক) সভাপতি আব্দুল হামিদের কাছে একটি নোটিশ আসে বর্তমানে সভাপতি মোকশেদুলের দাদা গ্রামবাসীকে না জানিয়ে জালিয়াতের মাধ্যমে পুকুরটি নিজের নামে টেন্ডার নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে বর্তমান সেক্রেটারি নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রতিবার যখন টেন্ডার হয় বর্তমান সভাপতি এবং সেক্রেটারি চেক কেটে এনে গ্রামবাসী সকলে মসজিদের কাজে লাগাই।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বছর আমাদের কিছু জানানো হয়নি, সুযোগ নিয়ে সাবেক সভাপতির তার দাদা হওয়ার মোকশেদুল জালিয়াতির মাধ্যমে পুকুর টেন্ডার তার নিজের নামে নিয়ে নেই।
এই বিষয়ে মুঠোফোন মোকশেদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে প্রথমে তিনি ফোনে কথা বলতে নারাজ হয়। পরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পুকুর টি আমার দাদা নামে চিঠি আসে এসিল্যান্ড অফিস থেকে বকেয়া বিল বাকী থাকায়।
আমার দাদাকে চিঠি করলে ১০ বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ করে এবং নতুন করে চেক কাটে। পরবর্তী তার কাছে থেকে আমি লীজ নেই।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান দু’পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। তাদের সঠিক কাগজপত্র দেখে এর সমাধান করা হবে।