অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ফের উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে প্রত্যাখ্যান করে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (৯ জুন) ১১টায় তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এখনো বিক্ষোভ চলছে।
এসময় তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুততর সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে দেশের প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে রাজপথে তীব্র আন্দোলন করবেন। এর আগে সকাল ১০টায় কোটা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে হাজারো শিক্ষার্থীদের জড়ো হয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/ স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে হাইকোর্টের বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ঢাবি শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নারী হয়ে বলছি, আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতার বলে চাকরি পাবে। প্রধানমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে তা আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রিহাম বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়কে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন কোটা প্রথা বিদ্যমান রাখার জন্য কিন্তু আমরা বলতে চাই উনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী নাকি ২% শিক্ষার্থীর মন্ত্রী?’
উল্লেখ্য, সরকারি নিয়োগের দুই শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সম্প্রতি সেটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।