রাজনৈতিক ডেস্ক:
বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশের দিন রাজধানীতে যুবলীগের সমাবেশের মাধ্যমে সরকার সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
২৭ তারিখ কোনো ধরনের সংঘাত হলে দায়ভার সরকারকে নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দল পরিষ্কারভাবে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
সরকারি দলকে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় কথা বলেন তা কোনো ভাষা হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী ভাষা। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তবে জনগণ এবার রুখে দাঁড়াচ্ছে।
সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে। যুগপৎ-এর বাইরেও অনেক দল আছে যারা বলছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্যই আমরা ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
এই মহাসমাবেশ হঠাৎ করে আসেনি।
গত ১৪/১৫ বছর ধরে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে ব্যবস্থা দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিল এবং সংবিধানে সেটা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সরকার সেটি আদালতকে ব্যবহার করে বাতিল করেছে। বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ে বলা হয়েছে পরবর্তী দুটি নির্বাচন দেশের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে। আসলে এই সরকার অবৈধ ও অনির্বাচিত।
যার প্রমাণ ২০১৪ সালের বিনাভোটের নির্বাচন। ২০১৮ সালেও তারা নিশিরাতে একতরফা নির্বাচন করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের বিষয়ে আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। আশা করি মঙ্গলবারের মধ্যে ভেন্যুর বিষয়টি জানাতে পারব এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করবেন।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এখানে আপনাদেরও সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। কারণ আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক মিয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।