স্টাফ রিপোর্টার:
পদ্মা সেতু শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, করে দিয়েছে দক্ষিণের ২২ জেলার বাসিন্দাদের উন্নত চিকিৎসার দুয়ার। এখন চাইলেই রোগী নিয়ে দ্রুত আসা যায় রাজধানীর হাসপাতালে। এতে চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে দুই থেকে সাত ঘণ্টা আগে।
২৫ জুলাই, ২০১৯। মাদারীপুরের কাঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিপারের অপেক্ষায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। কেটে যায় তিন ঘণ্টা। ছাড়ে না ফেরি। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র তিতাস মারা যান অ্যাম্বুলেন্সেই।
২১ জুন, ২০২৩। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রোগী জাহাঙ্গীর আলম। তিন দিন আগে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয় হাসপাতালে। শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় আসতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হওয়ায় এখন বিপদমুক্ত জাহাঙ্গীর।
গল্প দুটি পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ও পরের। সেতু হওয়ার আগে তিতাসের মতো অনেক ঘটনার সাক্ষী ফেরিঘাটের মানুষ। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার কেটে গেছে নদী পাড়ে। কখন পৌঁছাবেন ছিল না তার নিশ্চয়তা।
তবে সেতু হওয়ার পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। বেঁচে যাচ্ছে জাহাঙ্গীর আলমের মতো অনেক মুমূর্ষু রোগীর জীবন। দক্ষিণের প্রায় ২২ জেলার মানুষের ঢাকায় চিকিৎসা নেয়া সহজ হয়েছে। আগের চেয়ে সময় কম লাগছে ২ থেকে ৭ ঘণ্টা।
হৃদরোগ, স্ট্রোক ও দুর্ঘটনার রোগীর চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু করা যায়, রোগীর ক্ষতি তত কম হয়। সেতু হওয়ার ফলে দ্রুত সময়ে রোগীকে আনা যাচ্ছে রাজধানীতে। আবার অনেক চিকিৎসক ওপারের জেলাতে গিয়েও চিকিৎসা দিতে পারছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, সেতু হওয়ার পর দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার রোগী বেড়েছে রাজধানীর হাসপাতালে। বিশেষ করে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরের মানুষ এই সুফল পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।