বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এমন মন্তব্য করে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘোষক ও পাঠক এক নয়।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার এক মাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ববাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ পেয়েছিল। কাজেই, স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্য কারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিল না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলে ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল সাতটা ৫০ মিনিটে ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দীক।
শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করেন তিনি। পরে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান রাদওয়ান মুজিব।
এসময় আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ভাষণকে কেন্দ্র করে বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো। তাই বিএনপি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সে দিনই ছিল আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর রাত সাড়ে ১২টা যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে আমাদের ২৩ বছরে স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এটা হলো পরিবর্তন।