অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাসুমা খাতুন নামের নারী যুগ্ম কর কমিশনারকে অপহরণের জন্য ৭০ হাজার টাকায় চাকরিচ্যুত গাড়ি চালককে ঠিক করেছিলেন ভুক্তভোগীর সাবেক স্বামী হারুন অর রশিদ। অপহরণের পর ভুক্তভোগীকে হাতিরঝিল থানা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল অপহরণকারীদের।
এই অপরহণের পর জায়গামতো পৌঁছে দেওয়া হলে অপহরণের হোতা মাসুম ওরফে মাসুদকে (৪২) বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বলেও জানায় সাবেক স্বামী হারুন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছেন অপরহণের মূলহোতা মো. মাসুম ওরফে মাসুদ ও তার সহযোগীরা। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন র্যাবে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তার সাবেক গাড়িচালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই অপহরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া এক মামলার প্রধান আসামি মাসুদ এবং তার সহযোগী মো. আব্দুল জলিল ওরফে পনু (৪৮) ও মো. হাফিজ ওরফে শাহনি (৪৮) কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-৩ এর যৌথ আভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফেরার সময় যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ওই নারী কর কর্মকর্তার মাইক্রোবাস থামিয়ে কয়েকজন মিলে চালককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করা হয়।
এরপর ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ ছিল না। পরদিন দুপুর ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ও তিন অপহরণকারীকে আটক করে। যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার একটি পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।