স্টাফ রিপোর্টার:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবীর পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে স্থায়ী বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কী কারণে মারুফ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন তার ফেসবুকে সাঈদীর ছবিসংবলিত সংবাদ কার্ড শেয়ার করেন। একইসঙ্গে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এরপর থেকে যশোরের আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগ নেতার পোস্টটি স্ক্রিনশট দিয়ে সমালোচনা ও বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আবার সেই পোস্ট মুছে ফেলেন। এ ছাড়া মারুফের বিরুদ্ধে গাঁজা-ইয়াবা সেবনের অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরে মাদকদ্রব্য সেবনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হোসেন বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। দুই-তিন দিন আগে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি জিডিই করি। শুক্রবার রাতে আমার আইডিটা ফিরে পেয়েছি।’
তার মাদক সেবনের অভিযোগ নিয়ে বলেন, ‘গ্রুপিং রাজনীতির কারণে কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবীর পিয়াস বলেছেন, ‘সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’