অনলাইন ডেস্ক:
দেশে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম আগস্ট মাসে উদ্বোধন করতে চায় সরকার। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
রোববার (৯ জুলাই) অর্থ বিভাগের বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা উপবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খানকে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই উপবিভাগের আরেক অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা।
সোমবার (১০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, আগস্টের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চাকরি বিধিমালা এরই মধ্যে জারি হয়েছে। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা শিগগিরই জারি হবে।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, চূড়ান্তভাবে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ হলে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাঁচটি সংস্থার সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে।
সংস্থাগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল পাস হয় চলতি বছর জানুয়ারিতে। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।
সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও। তবে তারা ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন না। ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর আজীবন পেনশন পাবেন তারা। কেউ ৬০ বছর বয়সে অন্তর্ভুক্ত হলে ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর ৭০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন।
আইনে আরও বলা হয়, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের অথবা অসচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিবে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এতে অংশ নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার পরিমাণ পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
তবে সরকার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে পাইলট ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চললেও উদ্বোধনের দিন থেকেই যে কেউ এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।