স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদুল আজহার বাকি আরও প্রায় সপ্তাহখানেক। তবে এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে সরেজমিনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। বৃষ্টি ও রোদ থেকে মুসল্লিদের রক্ষায় মাথার ওপর সামিনা হিসেবে ত্রিপল টানানো হচ্ছে। ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হবে। পানিরোধক শামিয়ানা দিয়ে উপরের ছাউনি প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন ভেতরে নামাজের জায়গা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি এবং সাদা কাপড় দিয়ে সজ্জিত করার কাজ হবে মাঠের ভেতরের অংশে।
দেখা গেছে, বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরির জন্য বাঁশ টানানোর কাজ করা হচ্ছে। যে বাঁশের ওপরে ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হবে। পানিরোধক শামিয়ানা দিয়ে ওপরের ছাউনিও প্রস্তুত করার জন্য বাঁশ টানানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেতরে নামাজের জায়গা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি এবং সাদা কাপড় দিয়ে সজ্জিত করার জন্য মাঠের ভেতরের অংশেও মাটি ঢেলে সমতল করা হচ্ছে।
ঈদুল আজহার লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়ের জন্য চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাঠ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। ঈদগাহ মাঠ ছাড়াও আশপাশের এলাকা তথা হাইকোর্ট মাজার, কদম ফোয়ারাসহ সব জায়গা রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে।
প্যান্ডেলের কাজে নিয়োজিত পঞ্চাশোর্ধ্ব শ্রমিক আ. রহিম বলেন, আমি ঠিকাদারের খাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। প্রতি বছরই প্যান্ডেল নির্মাণে আমি থাকি। আমরা প্রথম থেকে ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজাহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। ঈদের আগে অন্তত দুদিন হাতে রেখে মাঠের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, দুদিন আগেই সব প্রস্তুতি শেষ করা হবে। জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠসহ আশপাশে প্রায় এক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। পাশাপাশি নারীদের জন্যও পৃথক নামাজের ব্যবস্থা থাকে।