অনলাইন ডেস্ক:
পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপাদন ও সরবরাহ করা না গেলে, সিন্ডিকেট ভেঙে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “পচনশীল হওয়ায় ও সংরক্ষণ করতে না পারায় দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপাদন ও সরবরাহ করা না গেলে, সিন্ডিকেট ভেঙে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।“
তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও; সেটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায়, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স আরোপ করেছে ভারত। এতে বাংলাদেশে আমদানি কম হয়েছে। তাই দেশেও এর প্রভাব পড়ছে।
এছাড়া ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হলে মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি করা হবে। “
এর আগে রোববার (২০ আগস্ট) কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত শুল্ক আরোপ করলেও বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কোনো কারণ নেই। ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও, এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এতে পেঁয়াজের এতই সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এতদিন চুপ করে বসে থাকত না।
এছাড়া দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল ফরিদপুর, পাবনার কৃষকদের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজের মজুত আছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও দেশে দামে তেমন প্রভাব পড়বে না।
পেঁয়াজ রফতানি একেবারে নিষিদ্ধ না করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছি। তবে ভারতের নিজেদের দেশে সংকট দেখা দেয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।