করোনার অমিক্রন ও ডেলটা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিগগিরই টিকা কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এই টিকা বাইভ্যালেন্ট কম্বাইন্ড ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার বণ্টন সমভাবে না হলে তা ঝুঁকি কমবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও করোনার সংক্রমন বাড়ছে। প্রতিবেশী ভারতে করোনার ওমিক্রন ধরনটির নতুন একটি উপধরণের সংক্রমন বাড়ছে। যার নাম দেয়া হয়েছে এক্সবিবি ওয়ান ওয়ান সিক্স ওয়ান। যাকে ওমিক্রমনের চেয়ে বেশি সংক্রমনশীল বলছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা টিকার মেয়াদ থাকে ছয় থেকে সাত মাস। সেই হিসেবে দেশে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছিলেন তাদের সবারই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপস্থিতি কমেছে।
সে কারণেই নতুন করে টিকা কর্মসূচি শুরুর কথা ভাবছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। দেশে টিকার মজুদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। নতুন করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে ৩১ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। যার ১১ লাখ টিকা এরই মধ্যে দেশে পৌঁছেছে। বাকি ২০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছালে এর বিতরণ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। তবে এটি হবে একটি বিশেষ বুস্টার ডোজ। যাকে বলা হচ্ছে বাইভ্যালেন্ট কম্বাইন্ড বুস্টার ডোজ।
মন্ত্রী জানান, যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি, তাদের এই বাইভ্যালেন্ট কম্বাইন্ড ডোজ দেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, সমভাবে টিকার বন্টন না হলে ঝুঁকি কমানো যাবেনা। এর আগে সারাদেশে ১৫ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি মানুষ। আর তৃতীয় বা বুষ্টার ডোজ দেয়া হয়েছে সাত কোটি মানুষকে।