অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করলে চীনকে গুরুতর পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন এবং এর ন্যাটো মিত্ররা চীনকে মস্কোর যুদ্ধের জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বেইজিং ইউক্রেনে ড্রোনসহ মারাত্মক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে বলে বলে তাদের বিশ্বাস।
মস্কোর বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই এবং কিয়েভ ট্যাঙ্কসহ উন্নত পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির মধ্যে পশ্চিমা এই আশঙ্কার কথা সামনে আসে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সিএনএন-এর ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নকে’ বলেছেন, ‘বেইজিং কীভাবে এগিয়ে যাবে, সামরিক সহায়তা দেবে কিনা সে সম্পর্কে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যদি সে সেই পথে হাঁটে তবে তার জন্য চীনেকে প্রকৃত মূল্য দিতে হবে’। আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদিও চীন সেই সাহায্য প্রদানে এখনও অগ্রসর হয়নি, তারা সেই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ উড়িয়েও দেয়নি।
শনিবার ভারতে জি২০ বৈঠকে বেইজিং ইউক্রেনের উপর মস্কোর হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছে। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীতে তারা একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রকাশ করে। তবে প্রস্তাবটি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে সংশয়ের উদ্রেক করেছে।
এদিকে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস রোববার বলেন, ‘যখন আমি প্রতিবেদনগুলো শুনি এবং আমি জানি না সেগুলি সত্য কিনা- যে চীন শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করার সময় রাশিয়াকে কামাকাজি ড্রোন সরবরাহ করার পরিকল্পনাও করতে পারে, তখন আমি পরামর্শ দিই যে আমরা চীনকে তার কর্মের দ্বারা বিচার করি, কথা দ্বারা নয়’।
অন্যদিকে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘আত্মবিশ্বাসী যে চীনা নেতৃত্ব প্রাণঘাতী সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে’। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, চীন যে অস্ত্রগুলো রাশিয়াকে পাঠানোর কথা ভাবছে তার মধ্যে ড্রোন রয়েছে।
পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, এটি পশ্চিমাদের সাথে একটি সংঘর্ষ যা রাশিয়া এবং রাশিয়ান জনগণের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ। রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে পুতিনের যুদ্ধের আখ্যা ক্রেমলিন প্রধানকে পারমাণবিক অস্ত্রসহ যেকোন অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বাধীনতা দেয় বলে আশঙ্কা পশ্চিমের৷