পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মার্চেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের সবগুলো স্টেশন চালু হবে। আর, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে, রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এমআরটি-৫ এর জন্য রাজউক ও দুই সিটির সঙ্গেই সমন্বয় করেই কাজ করা হচ্ছে। এই রুটের কাজ শেষ হলে ১০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবে।
তিনি জানান, ছয়টি রেল চালু হলে ৫০ লাখ মানুষ চলাচল করতে পারবে। এমআরটি-৫ মেট্রো প্রকল্পে এডিবি আর্থিক সহায়তা করছে। এমআরটি ৬ ও ১ এর কাজ যেভাবে যথা সময়ে শুরু হয়েছে, এই কাজও আগামী বছর যথাসময়ে শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
একই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, মেট্রোরেল বা এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজের জন্য পূর্বাচল হাইওয়ের তেমন ক্ষতি হবে না। যে কোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়।
এমআরটি লাইন-৫ এর স্টেক হোল্ডারদের মিটিং শেষে তিনি আরো বলেন, কতটুকু ক্ষতি হবে তার স্টাডি করেছি। এক্ষেত্রে তিনশ’ ফিট সড়কের তেমন ক্ষতি হবে না। সামান্য ক্ষতি হবে। এতে রাস্তার বিশাল ক্ষতি হবে এটা বলা যাবে না।
সচিব আরো বলেন, সড়কের ১২টি আন্ডারপাসের মধ্যে বেশ কতগুলো ভাঙা পড়বে। মিনিমাম অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। এমন তো নয় যে, মেট্রোরেল আকাশ দিয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হবে। এ নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।