আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভারত, চীন, জাপানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। ভারতে এরই মধ্যে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্গত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতে দিন দিন অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। একদিনেই প্রাণ গেছে ৩৪ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪৫। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লি এবং হিমাচল প্রদেশে। বন্যা ও ভূমিধসে হিমাচলে মারা গেছে ৯১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজারের বেশি পানি সরবরাহ প্রকল্প। দিল্লিতে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
এদিকে, বন্যায় প্লাবিত উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ। আরও কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত উত্তরাখন্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আাবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে উত্তর প্রদেশেও। জলঢাকা ও তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার।
এদিকে, তীব্র বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে চীনের উত্তরাঞ্চলেও। প্রাণহানির পাশাপাশি অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার সকালে চংকিং প্রদেশের ২ হাজার ৬০০ বাসিন্দাক, এবং এর আগের দিন সিচুয়ানের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনেও প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরটির ১৪টি অঞ্চল। বন্যার কারণে জাপানের কিয়ুশু দ্বীপের দুটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দাকে। তীব্র বৃষ্টিতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ৪ হাজার বাড়িঘর।
এদিকে, বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তাঘাট। বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছে ম্যানিলা বিমানবন্দরের কয়েকটি ফ্লাইট। আগামী কয়েকদিন দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।