আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের আসাম, হিমাচল ও উত্তর প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ধারাবাহিক ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। আর দিল্লিতে উন্নতির দিকে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতি ভারিবৃষ্টির কারণে থমকে গেছে।
ভুটানের কুড়িছু বাঁধ থেকে ছেড়ে দেয়া পানির সাথে ভারিবৃষ্টি যোগ হওয়ায় আসামের বিশ্বনাথ, গোলঘাটসহ ১৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন এক লাখ ৭ হাজার আটশ’ ২৯ জন।
অব্যাহত ভূমিধস ও পানির ঢলে এযাবত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে আসামে। ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় একের পর এক ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। রাস্তা ধসে আটকা পড়েন বহু পর্যটক ও তীর্থযাত্রী।
উত্তরাখণ্ডের ৪২ এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর অভিযানে নতুন করে প্রায় তিনশ’ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে উত্তর প্রদেশে গঙ্গা ও যমুনা নদীর পানির স্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই রাজ্যে মৃত্যু এরইমধ্যে ৫০ ছাড়িয়েছে। সাময়িক বিরতির পর টানা বৃষ্টিতে কিছুটা থমকে যায় দিল্লির উন্নয়নশীল বন্যা পরিস্থিতি। দুর্গত নগরবাসীর পরিবার প্রতি ১০ হাজার রূপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।