স্পোর্টস ডেস্ক:
এশিয়া কাপে নিজেদেরে প্রথম ম্যাচে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। নেপালের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে খেলতে নামার আগের দিন একাদশ ঘোষণা করে নজির গড়েছিল তারা। প্রতিপক্ষ দুর্বল বলে বাবর আজমরা এমন সাহস দেখাতে পেরেছে বলে মত ছিল অনেকের। তবে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও একই কাণ্ড করে বসলো পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায় শ্রীলঙ্কার পাল্লাকেলে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই বলে কথা। রাজনৈতিক বৈরিতায় একে অপরের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। লড়াইটা হয় তাই কেবল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে। তাদের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে ক্রিকেট বিশ্ব। এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে কীভাবে গুড়িয়ে দেয়া যায় সেটা নিয়ে গোপন কৌশল সাজায় দুদলের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে খেলোয়াড় সবাই।
কিন্তু সেখানে যেন ভিন্ন পাকিস্তান। যেখানে সাদা পোশাকের অ্যাশেজ বাদ দিয়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে টসের আগে একাদশ ফাঁস করার নজির নেই, সেখানে কিনা তারা প্রায় ১৯ ঘণ্টা আগেই ঘোষণা করে দিল একাদশ। এর আগে নেপাল ম্যাচেও একই কাণ্ড করেছিল বাবর আজমরা। সেবার প্রতিপক্ষ দুর্বল হওয়ায় বিষয়টি খুব একটা আলোচনার সৃষ্টি করেনি। কিন্তু এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আগে থেকে নিজেদের একাদশ সম্পর্কে জানিয়ে যেন দুঃসাহসেরই পরিচয় দিল পাকিস্তান।
আবহাওয়া কিংবা মাঠের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে একাদশে পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতা একাদশ নিয়েই ভারতের বিপক্ষে লড়বে পাকিস্তান।
সব বৈরিতাকে পেছনে ফেলে ম্যাচ যখন মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় ঠিক তখন নতুন করে এক শঙ্কা অবশ্য উঁকি দিচ্ছে। ক্যান্ডির আকাশে এদিন দেখা যেতে পারে মেঘের আনাগোনা। আবহাওয়া অফিস বলছে এদিন ক্যান্ডিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ। রিজার্ভ ডে না থাকায় বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ভেস্তেও যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে দুই দলকে।
শেষমেশ গত বছর অক্টোবরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটের কথা বললে দুই দলের সাক্ষাৎ হচ্ছে ৪ বছর পর। সর্বশেষ এই ফরম্যাটে তাদের দেখা হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে।
ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ।