অনলাইন ডেস্ক:
ভারত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য কিছু বলে থাকলে তা নিশ্চয়ই এ অঞ্চলের উপকারে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে হয়তো ব্রিকসে যুক্ত হতে পারবে না বাংলাদেশ। নতুন সদস্য নেয়ার বিষয়ে বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলো ঐক্যমত্য হলেই তা সম্ভব।
এ বিষয়ে আমাদের তাড়াহুড়ো নেই।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ জুন এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগস্টে বাংলাদেশে ব্রিকসের সদস্য পদ লাভ করতে পারে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার এক বৈঠক নিয়ে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ব্রিকসে বাংলাদেশে যোগদানের বিষয়ে ভারতের বক্তব্য হলো, জোটে নিশ্চয় নতুন নতুন দেশকে স্বাগত জানানো দরকার। কিন্তু জোটের ভেতরে ‘আঞ্চলিক ভারসাম্য’ যাতে রক্ষিত হয় সেটাও দেখাটা খুব জরুরি।
গত ৩ আগস্ট বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির একাধিক সাবেক কূটনীতিক ও বিশ্লেষকের মতে এই পটভূমিতে চীন না ভারত – কাদের ‘ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে বাংলাদেশ ব্রিকসে ঢুকতে চাইবে তার ওপরই সম্ভবত নির্ভর করবে এই প্রচেষ্টার পরিণতি।
ঢাকায় এক সভায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। তবে নতুন রাষ্ট্র যুক্ত করার বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মতামত ও ঐক্যমত্যে প্রয়োজন রয়েছে।
এদিন আরেক বিবৃতিতে ভারত জানায়, ব্রিকসের সদস্য সম্প্রসারণের বিষয়ে ভারত বিরোধিতা করছে- এমন কথা আসলে গুজব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘ভারত ব্রিকস-এর সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে এটা গুজব। কারণ ব্রিকসের চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা পরবর্তী ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও জোটে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’