স্টাফ রিপোর্টার:
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও সেটা সামাল দেওয়া গেছে। সামনে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
পরিবেশবাদীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবাদীরা অনেক কিছুই বলে। কয়লার মাধ্যমে উৎপাদন তো বন্ধই আছে। এখন ওনারা কী বলবেন? পরিবেশবাদীদের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ নেব। সেই বিদ্যুতের দাম প্রায় ২১ টাকার ওপরে পড়বে কিছুটা। সরকার এখানে একটা ভর্তুকি দেবে। আর বড় বিষয় হলো বর্জ্যের একটা ব্যবস্থা হবে। ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, বর্জ্য থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্লান্ট থেকে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন যোগ হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, আমিন বাজার ল্যান্ড ফিল্ডের কাছেই ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৩৬০ কোটি টাকা। এছাড়া এই প্ল্যান্টে আর কোনো ব্যয় নেই। চীনের প্রতিষ্ঠান ও উত্তর সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, উত্তর সিটিতে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার বর্জ্য উৎপাদন হয়, যা থেকে ৩ হাজার টন বর্জ প্ল্যান্টে দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করতে না পারলে জরিমানা গুনতে হবে।