রাজনৈতিক ডেস্ক:
রাজধানীতে মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিতে পারে বিএনপি। এই সময়ের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না এলে ৩০ জুলাই থেকে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার কথাও ভাবছে দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, কর্মসূচির ধরন নির্ভর করবে মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারের আচরণের ওপর।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে আবারও বড় ধরনের জনসমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এবারের মহাসমাবেশের মূল লক্ষ্য সরকারের পদত্যাগে বাধ্য করা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জানান, এখন থেকে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে দলের নেতা-কর্মীরা।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, যে কোনো বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশ সফল করতে চায় বিএনপি।
তবে সরকারের কঠোর অবস্থান বা বাধা সৃষ্টি করা হলে কর্মসূচির ধরন বদলানোর চিন্তাও রয়েছে দলটির।
এদিকে পুলিশের আপত্তির মুখে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে বিএনপির মহাসমাবেশ হবে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই)।
গতকাল বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি ২৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৮ জুলাই, শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, এই কর্মসূচিতে সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান বাধা তৈরি করবে না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। একই দিন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী দুই সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ ছাড়াও আরও সাতটি সংগঠন এই দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশের অনুমতি চায়।
বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় দুই বড় রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ হলে রাজধানী অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এ প্রেক্ষিতে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ছুটির দিনে করতে রাজনৈতিক দলগুলোতে আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এক পর্যায়ে বিএনপিকে সমাবেশ করতে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ আর যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শান্তি সমাবেশ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার। পুলিশের আপত্তির মুখে সমাবেশ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনায় বসে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা নাকচ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।