স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই সবকটি সূচকের বড় উত্থান হয়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে আধাঘণ্টার লেনদেন জুড়েই। ফলে লেনদেনের ১৮ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের মাঝপথে এসে হঠাৎ একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে একপর্যায়ে প্রধান মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে শেষ ঘণ্টায় এসে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এরপরও বড় থাকে দরপতনের তালিকা। তবে বাড়ে প্রধান মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনের ভালো গতি অব্যাহত থাকে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ১০০টির দাম কমেছে। আর ১৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৯৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, এখনো পর্যন্ত এটি চলতি বছরের একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন। চলতি বছরে এর আগে আর ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়নি।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা লাইফের ৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।