অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর কলাবাগানে শিশু গৃহকর্মী হেনা মাঝে মাঝে গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন ডলির বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলতো। এজন্য তাকে নির্যাতন করে হেনাকে হত্যা করেন সাথী পারভীন ডলি। তাকে হত্যার পর মোবাইল রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন তিনি। এরপর চলে যান যশোরে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গৃহকর্মী শিশুটিকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার বাচ্চার খাবার খাওয়ায় নির্যাতন করে। অনেক সময় গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার সঙ্গে খেলাধুলা করতো হেনা।
এসময় কোনো কারণে তার বাচ্চার সঙ্গে হেনার মারামারি হলেও নির্যাতন করা হতো। আর নির্যাতনের মাত্রা এমন ছিল যে বিছানায় মলত্যাগ করে ফেলতো।
কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট সকালেও হেনাকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।
ওইদিন রাতে ফোনে গৃহকর্মী হেনার মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয় পুলিশ। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহকর্মী হেনার মরদেহ উদ্ধার করে তারা।