স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটে চিংড়ির ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখ নিহতের ঘটনায় এহাজারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কালাম বয়াতি ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে নিবাস।
এর আগে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখের স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পৌর যুবলীগ সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলকে প্রধান করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ সময় স্বজনদেরও আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। স্বজনরা খুনিদের শাস্তি দাবি করেছেন। রাতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে নাগের বাজার এলাকার সোহেল হাওলাদার ও রাখা হাওলাদারসহ ৭ থেকে ৮ জন আনারুল শেখ ওরফে আনার ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের। আনাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনারুল।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনা বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আবদুল গনি শেখের ছেলে। তিনি বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ছিলেন।
নিহততের ছোট ভাই বাচ্চু শেখ বলেন, সোহেলের খালু কালাম বয়াতির সঙ্গে ঘের নিয়ে বিরোধ ছিল আমার। মেঝ ভাইয়ের (আনারুল) সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ ছিল না। তারপরও তারা ভাইকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলল।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর এলাকার চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের পেছনের একটি সরকারি খাল দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘের করতেন প্রভাবশালীরা। এই ঘের দখল নিয়ে বাচ্চু শেখ ও কালাম বয়াতির মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। দুপক্ষই সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার বাগেরহাট সদর উপজেলার নাগেরবাজার এলাকার রশীদ হাওলাদারের ছেলে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে আনা হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য খুনিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।